টুকটুকে বউ এলো
কুচকুচে কালো ।
রং নিয়ে কি হবে ?
কাজে কামে ভালো ।।
এক গাছি চুল আছে,
কোমর ছাড়ায় ।
খয়ের পানেতে দিয়ে
খিলি পান খায় ।।
ঘুমায় সাঁজের বেলা,
উঠে পড়ে ভোরে ।
কোমরে কাপড় গুঁজে,
কাজে নেমে পড়ে ।।
ধান সেদ্ধ, মুড়ি
ভাজা, রেঁধে ফেলে ভাত ।
যেন দুটি নয় তার,
আছে চার হাত ।।
মা,মাসি,কাকী,জেঠী
কেউ বা ডাকে কালী।
আসল নাম কি ছিল তার,
নিজেই গেছে ভুলি ।।
পালা শুনতে গেল
শাশুড়ি, সঙ্গে পাড়াপড়শি ।
সন্ধ্যে পরেই ঘুমলো
কালী, সেদিন চতুর্দশী ।।
মধ্যরাতে পড়ল ডাকাত,
কোরে হারে রে রে ।
ওমনি কালী উঠে
দাঁড়ায়, বলল ওখানে কেরে ?
গাহনাগাঁটি টাকাকড়ি
নিল কাঁসার বাসন ।
কালী দাঁড়াল রুখে
যখন, ছিনল তারি বসন ।।
রুদ্র কালী তুলল
খড়গ, করল তাদের ক্ষান্ত ।
মা বলে কেউ শান্ত
হল, কেউ হল দিক ভ্রান্ত ।।
পালাল কোন শয়তান এক,
ধেয়ে গেল তার পিছে।
হাতে খড়গ কাটা
মুণ্ডু, দেখল না সে নিচে ।।
নেশার ঘোরে ভাসুর
ঠাকুর দুয়ারেতে পড়ে ।
গুরুঞ্জ্যানহীন কালী
তখন দাঁড়ায়ে তাঁরি ধড়ে ।।
গ্রামবাসী সব এলো
যখন, থেমেছে সকল যুদ্ধ ।
লজ্জায় জিভ কাটল
কালী, সবাই হল মুগ্ধ ।।
সেদিন হল কালীর
পূজা, কালী সবার মা ।
কেউ বা বলে, না! না!
এত লক্ষ্মী প্রতিমা ।।
মা হয়ে তুই অভয়
দিলি, শয়তানেরে শিক্ষা ।
এখনও তবু তোর মেয়েরা
করে প্রানের ভিক্ষা ।।
শক্তি দে মা, সাহস
দে মা, করি শত্রুর ক্ষয় ।
ভক্তি ভরে প্রনমি
তোরে, করব অসুর জয় ।।
-Moumita Sahu
No comments:
Post a Comment