পাশের বাড়ির পেছনে এক মস্ত
বড় গাছ ।
আছে একটা ডোবা মতো, নাইতো
তাতে মাছ ।।
তারি চারি ধারে মোরা করি
ঘোরাঘুরি ।
দেখবি ম্যাজিক? বলেই কতো
তুলি টগর কুঁড়ি ।।
বিকেল বেলা ক্রিকেট খেলা,
নয়তো কুমীর ডাঙ্গা ।
কখনও বা লুকোচুরি, কখন
হাঁড়ি ভাঙা ।।
কারো ফাটলো মাথা আবার কারো
কাটল পা ।
তবুও খেলা থামল নাতো, হোক
সে যন্ত্রনা ।।
ঘরে বসে পুতুল খেলা, সেজেছি
বৌ বর ।
বড় দাদা এলেই মোদের ভাঙত
খেলার ঘর ।।
তিনটে ইটে উনুন বানাই,
জ্বালানী দিই কাঠি ।
ঘরের খাবার বাইরে খেয়ে হোল
চড়ুইভাতি ।।
কৃষ্ণচুড়ার ফুলে ফলে করি
কতো লড়াই ।
বঁড়শী দিয়ে পুঁটি ধরে করতে
পারি বড়াই ।।
পুকুর ঘাটে সাঁতার কেটে
জলকে করি কাদা ।
বালির গুহায় ঢুকতে গিয়ে
হলাম পুরো সাদা ।।
কাগজ দিয়ে নৌকা বানাই,
বানাই উড়োজাহাজ ।
স্কুলের শেষে ভিজলে পরে,
দেখবে মায়ের মেজাজ ।।
সরস্বতী পুজো এলো ভাঙল সবার
ঘুম ।
জামা ছেড়ে শাড়ি পরার লেগে
গেল ধুম ।।
বড় হলাম সবার মতো, হোল বছর
পার ।
স্বপ্নে আসে ছোট্টবেলা,
ফিরবে না যা আর ।।
- Moumita Sahu
- Moumita Sahu
No comments:
Post a Comment